আবহাওয়া ও জলবায়ু
আবহাওয়া : কোন স্থানের বাতাসের তাপ, উষ্ণতা , চাপ , আর্দ্রতা ,মেঘ, বৃষ্টি জলীয়বাষ্পের পরিমাণ, বায়ু প্রবাহ প্রভৃতির দৈনন্দিন অবস্থাকে ঐ স্থানের আবহাওয়া বলে। জলবায়ু: কোন স্থানের ২০-৩০ বছরের আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলে। মেটিওরোলজী হল আবহাওয়া সম্পর্কিত বিজ্ঞান। কোন স্থানের জলবায়ু নির্ভর করে - বিষুবরেখা হতে এর দূরত্ব : সাগর বা মহাসাগর হতে এর দূরত্ব: সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর দূরত্ব ইত্যাদির উপর । আর্দ্রতা : বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে বায়ুর আর্দ্রতা বলে। আর্দ্রতা খুই প্রকার। যথা : ১. পরম আর্দ্রতা ২. আপেক্ষিক আর্দ্রতা ।
বায়ুরতাপ
বায়ুমণ্ডলের মোট শক্তির ৯৯.৯৭% আসে সূর্য থেকে। সূর্য থেকে আগত এ শক্তি বায়ুমণ্ডল তাপীয় শক্তি বা গতিশক্তি আকারে ধারণ করে। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা কমে যায়। সাধারণত প্রতি ১০০০ মি: উচ্চতায় ৬° সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে যায়। অর্থাৎ প্রতি ১৬৫ মি: উচ্চতায় ১° সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে।
বায়ুতে থাকা তাপ কয়েকটা প্রক্রিয়ায় চলাচল করতে পারে-
পরিবহন – এই প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত - হয়।
e পরিচলন – এই প্রক্রিয়ায় পানি ও - বায়ুমন্ডলের উত্তাপের বিনিময় হয়।
বিকিরণ – এই প্রক্রিয়ায় সূর্যরশ্মি - বায়ুমন্ডল ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছে এবং এই প্রক্রিয়ায় পৃথিবী তাপ হারিয়ে শীতল
হয়।
বায়ুর চাপ (Atmospheric Pressure)
যে কোনো পদার্থের মত বায়ুর নিজস্ব ওজন আছে। বায়ুর এ ওজন জনিত কারণে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাই বায়ুর চাপ। ৪৫০ অক্ষাংশের সমুদ্রপৃষ্ঠে ০০ উষ্ণতায় ৭৬ সেমি. বিশুদ্ধ পারদস্তম্ভের চাপকে আদর্শ বা স্বাভাবিক বায়ুমন্ডলীয চাপ বা এক ‘বার’ বলে। সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ – প্রতি বর্গইঞ্চিতে ১৪.৭২ পাউন্ড প্রতি বর্গসেন্টিমিটার প্রায় ১ কেজি অথবা প্রতি বর্গ সেমি. এ ১০.১৩ নিউটন। স্বাভাবিক বায়ুর চাপ ৩৪ ফুট পর্যন্ত পানিকে ধরে রাখতে পারে। সাধারণ পাম্প বায়ুর চাপ ব্যবহার করে পানিকে ওপরে তোলে। তাই সাধারণ পাম্পের পানিকে ৩৪ ফিুট (বা ১০.৩৬ মিটার) এর অধিক উচ্চতায় উঠানো যায় না।
বায়ুর চাপ নিম্নলিখিত নিয়ামকের ওপর নির্ভরশীল-
ক) উচ্চতা: সমুদ্রপৃষ্ঠে বায়ুর চাপ সর্বাধিক। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে যত উপরে উঠা যায় তত বায়ুর চাপ কমতে থাকে।
খ) উষ্ণতা: তাপে বায়ু প্রসারিত ও হালকা হয়, ফলে বায়ুর চাপ কমে। তাপ হ্রাস পেলে বায়ুর চাপ বাড়ে।
গ) জলীযবাষ্প: জলীয়বাষ্পপূর্ণ আর্দ্র বায়ু শুষ্ক বায়ু অপেক্ষা হালকা। তােই বায়ু আর্দ্র হলে বায়ুর চাপ কম হয় পক্ষান্তরে বায়ু শুষ্ক থাকলে বায়ুর চাপ বেশি হয়
বায়ুর প্রবাহ
বায়ুর তাপের প্রধান উৎস সূর্য। বায়ুমন্ডলের মোট শক্তির ৯৯.৯৭% আসে সূর্য থেকে। সূর্য তেকে আগত এ শক্তি বায়ুমন্ডল তাপীয় শক্তি বা গতিশক্তি আকার ধারণ করে। উচ্চতা বৃদ্ধির ষাথে সাথে বায়ুমন্ডলীয তাপমাত্রা হ্রাস পায়। সাধারণত প্রতি ১০০০ মি. উচ্চতায় ৬০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
বারিমন্ডলের ধারণা
পৃথিবী পৃষ্ঠের ২৯.২% স্থলভূমি এবং ৭০.৮% জলভূমি। বিশাল জলরাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় থাকে যেমন- কঠিন (বরফ), গ্যাসীয় (জলীয়বাষ্প) এবং তরল। বায়ুমন্ডলে পানি রয়েছে জলীয়বাষ্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে রয়েছে তরল ও কঠিন অবস্থায় এবং ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি। সুতরাং বারিমন্ডল (Hydrosphere) বলতে বোঝায় পৃথিবীর সকল জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ। বারিমন্ডলের জলের পরিমাণভিত্তিক বন্টন নিম্নরূপ-
আরও দেখুন...